নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়েত্ব অবহেলা ও অর্থ লোভের কারণে প্রতিদিন লুটে নিচ্ছে মূল্যবান মাদারট্রি গর্জন গাছ। এসব গাছ লুটে নিয়ে অবৈধ ভাবে তৈরী হচ্ছে বোর্ট। এসব কাজে সহযোগিতা দিয়ে অর্থহাতিয়ে নিচ্ছে দাযিত্বরত রেঞ্জকর্মকর্তা। ফলে তার কর্মস্থল ডুলাহাজারা বিটসহ বেশ কটি বিটের মূল্যবান গাছ উজাড় হতে চলেছে । অসহায় হযে পড়েছে এ বিটের দাযিত্বেরত বিট কর্মকর্তার। গতকাল রাতে ডুলাহাজারা বনবিটের রিজার্ভপাড়া বনভূমি থেকে ২টি মূল্যবান মাদার ট্রি গর্জন কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে প্রশ্ন উঠে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষরে ভুমিকা নিয়ে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়, ডুলাহাজারা বন বিটের অধীন পূর্ব-ডুমখালী রিজার্ভপাড়া এলাকা থেকে গভীর রাতে ২টি মাদার ট্রি গর্জন গাছ কেটে নেয়ার সময স্থানীয় জাগিদাররা রেঞ্জকর্মকর্তা আবদুল মতিন ও বিট কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে জানালেও কোন ধরণের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে করে প্রায় লাখ টাকা মূল্যের ২টি মূল্যবান মাদারট্রি নিয়ে গেছে বনদস্যুরা।
স্থানীয়রা দাবী করেছে, অবৈধ ভাবে ওই এলাকার বিভিন্নস্থানে বশির আহমদের নেতৃত্বে ৫/৬টি বোট তৈরী করা হচ্ছে। এসব বোর্ট তৈরীতে সহযোগিতা করছে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জকর্মকর্তা। যার ফলে কোন ধরণের পদক্ষেপ না নিয়ে নিরব দর্শকের ভুমিকা পান করার কারণে প্রতিদিন এ রেঞ্জরে বিভিন্ন বিট থেকে উধাও হচ্ছে বনের মূল্যবান গাছ।
এলাকাবাসীর দাবী করেছে, দাযিত্বরতরা চাকুরী নামে বন সম্পাদ লুটপাট ও নিজেদের আখের গোচা মিঠাতে গোপনে গাছ চোরদের সাথে মিলিয়েছে। এতে করে ওই এলাকায় বনখেকোদের উৎপাত দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ রেঞ্জ কর্মকর্তার ভুমিকা কারণে দাযিত্বরত বনবিট কর্মকর্তারা ও সুযোগ বুঝে এ কাজে জড়িয়ে পড়ছে বলে অনেকের প্রশ্ন।
বনখেকো ও কঠে চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অচিরে ডুলাহাজারা বনবিট জনবসতি বাড়বে এর পাশাপাশি বনভুমি বিরণ ভুমিতে পরিমন হয়ে হাজার কোটি টাকা লুকসান গোনতে হবে সরকারকে।
এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
পাঠকের মতামত: